সামষ্টিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

গত তিন দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার অনেক বেশি সামষ্টিক প্রতিবেদন থাকবে। ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কঠোর করার সম্ভাবনা নির্ধারণ করবে। গত কয়েকদিনে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালির মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রতিটি প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতির উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে। অতএব, আমরা আশা করতে পারি ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক হ্রাস পাবে। বাজারের ট্রেডাররা বার্ষিক ভিত্তিতে এই সূচকের 6.3-6.5% এ হ্রাস প্রত্যাশা করছে। প্রকৃত মান কম হলে, এটি ইউরোর নতুন দরপতন ঘটাতে পারে।

এছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেকারত্বের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেকারত্বের আবেদন, শ্রমবাজারের উপর ADP রিপোর্ট এবং ISM ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস সূচকের রিপোর্টও আজ প্রকাশ করা হবে। ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় এই পেয়ারের মুভমেন্ট প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৃত মূল্য পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বিচ্যুত হলে শুধুমাত্র প্রথম দুটি প্রতিবেদন ট্রেডারদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

মৌলিক ঘটনাবলী:

বৃহস্পতিবারও মৌলিক ঘটনা থাকবে। ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ভাষণ দেবেন। মনে রাখবে যে তিনি বুধবার ট্রেডারদের তেমন কোন আকর্ষণীয় তথ্য প্রদান করেননি। যাইহোক, আমরা বৃহস্পতিবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারি, বিশেষ করে যেহেতু লুইস ডি গুইন্ডোস এবং অন্যান্য ইসিবি প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে এই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় বিবৃতি দিয়েছেন। বিশেষত, এটি উল্লেখ করা হয়েছিল যে 2023 সালে সুদের হার একাধিকবার বাড়তে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক কমিটির সদস্য প্যাট্রিক হারকারের একটি বক্তৃতা থাকবে, যা একই কারণে বেশ আকর্ষণীয়। কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য এই সপ্তাহে বলেছেন যে ফেডের সুদের হার জুনে আবার বাড়তে পারে, যা সম্ভবত মার্কিন মুদ্রাকে অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করেছে কারণ বাজারে আরও কঠোরতা আরোপের উপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। এই ধরনের বিবৃতি যত বেশি আসে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা তত বেশি। তদুপরি, উভয় পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।

সাধারণ উপসংহার:

বৃহস্পতিবার, প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে, যা মূল্যের পুলব্যাক সহ ঘন ঘন বিপরীতমুখী প্রবণতা এবং সংশোধন হতে পারে। আপনার ইউরোজোন মুদ্রাস্ফীতি রিপোর্ট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসএম সূচকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। সন্ধ্যায় হারকারের বক্তৃতা রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, আমরা মূল্যের পর্যাপ্ত পরিমাণে অস্থির মুভমেন্ট আশা করি, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য বিভিন্ন দিকে যেতে পারে। সতর্কতার সাথে ট্রেডিং করা উচিত।

ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:

1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা স্তরের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট স্তরের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্য স্তরে পৌছায়নি), তাহলে এই স্তরে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং ঘন্টার মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি স্তর একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তর হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্টে কি আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তরগুলো হল সেই স্তর যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই স্তরগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।