দ্বীপ দেশগুলোর পলিমার নোট

1983 সালে, কোস্টারিকা, হাইতি এবং মেইনের দ্বীপপুঞ্জে সর্বপ্রথম পলিমার নোট প্রচলন করা হয়েছিল। নোটগুলো নন ওভেন টাইভেক উপাদান দিয়ে তৈরি, যেটির উচ্চ ঘনত্ব এবং চমৎকার পানি-প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই ধরনের ব্যাঙ্কনোটগুলো কাগজের চেয়ে বেশি দিন টেকে। যাইহোক, আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু নোটগুলোর সাথে একটি নিষ্ঠুর রসিকতা করেছে এবং এগুলো নষ্ট হতে শুরু করেছে। ফলস্বরূপ, কর্তৃপক্ষ প্রচলন থেকে পলিমার নোট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কয়েক বছর পর, রিজার্ভ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়া (RBA) এবং কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন পলিপ্রোপিলিন দিয়ে তৈরি একটি নতুন ধরনের প্লাস্টিকের নোট তৈরি করে। 1988 সালে, অস্ট্রেলিয়ায় ইউরোপীয় অভিবাসীদের উপস্থিতির 200 তম বার্ষিকীতে, প্লাস্টিকের তৈরি প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রচলন করেছিল।

জিম্বাবুইয়ান ডলার

2009 সালে, জিম্বাবুয়ের কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে জিম্বাবুইয়ান ডলার ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিল। দেশটির অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে "দেশটির মুদ্রা মূলত মৃত।" পরে, সরকার মুদ্রা পুনরায় চালু করতে অস্বীকার করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, জিম্বাবুইয়ান ডলার 28 বছর ধরে বিদ্যমান ছিল। 1981 সালে, দেশটি যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর এটি রোডেসিয়ান ডলারকে প্রতিস্থাপন করে। 1994 সালে, তথাকথিত সেকেন্ড ডলার দিয়ে দেশটির জাতীয় মুদ্রার রূপান্তর করা হয়েছিল। 2006, 2008 এবং 2009 সালে ধারাবাহিক পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর, সরকার নতুন মুদ্রা চালু করে, যেমন বতসোয়ানা পুলা, দক্ষিণ আফ্রিকান র্যান্ড, মার্কিন ডলারের পাশাপাশি ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরো।

উইমার প্রজাতন্ত্রের নোট

1923 সালে, দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কট এবং অত্যন্ত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে জার্মানি নোটজেল্ড বা "জরুরী অর্থ" নামে নতুন নোট চালু করে। এক নোটজেল্ডের মূল্য ছিল কয়েক মিলিয়ন মার্ক। মুদ্রাটি বেসরকারী সংস্থা এবং স্থানীয় স্ব-শাসিত সংস্থাগুলি থেকে ইস্যু করা হয়েছিল। আইন অনুসারে, নোটগেল্ড একটি অর্থপ্রদানের পদ্ধতি হিসাবে কাজ করতে পারেনি, তবে এটি কিছু সময়ের জন্য অর্থপ্রদানের স্বীকৃত উপায় হয়ে উঠেছিল। নোটগেল্ডের নকশায় হেরাল্ডিক চিহ্ন রয়েছে। কখনও কখনও এই নোটের সাথে ঐতিহাসিক ঘটনার মিল খোঁজা হয়, গ্রাফিক ডিজাইনার হার্বার্ট বেয়ার নির্মিত "জরুরী অর্থ" থুরিংগিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ব্যাঙ্কনোটগুলো অস্বাভাবিক ফন্ট এবং উজ্জ্বল রংবিশিষ্ট ছিল। বিশেষজ্ঞরা এগুলোকে আধুনিক নোটের মানদন্ড বলে মনে করেন।

রাশিয়ান "নেমতসোভকি"

20 শতকের 90 দশকের গোড়ার দিকে, রাশিয়াতেও নতুন মুদ্রার আবির্ভাব ঘটে। নিজনি নোভগোরোড অঞ্চলের গভর্নর বরিস নেমতসভের নামের সাথে মিল রেখে এটিকে "নেমতসোভকি" বলা হত। দেশটিতে নগদ অর্থের অভাবের সমস্যা সমাধানে গভর্নর এই নোটের প্রচলন করেন। বরিস নেমতসভ তার নিজস্ব ট্রেজারি নোট তৈরি করেছিলেন, যা সরকারী ঋণ বন্ড হিসাবেও কাজ করেছিল। 1992 সালে, রাষ্ট্রীয় আর্থিক এন্টারপ্রাইজ গজনাক 10.8 মিলিয়ন রুবলের সমপরিমাণ "নেমতসোভকি" মুদ্রণ করেছিল। যাইহোক, পরে, রাশিয়ান সরকার এই অঞ্চলে নগদ সরবরাহ করার নির্দেশ দেয়। এই কারণেই "নেমতসভকি" এর আর প্রয়োজন ছিল না। উল্লেখযোগ্যভাবে, 1992 সালের বসন্ত পর্যন্ত, পেট্রল কেনার জন্য এই মুদ্রা ব্যবহার করা হত।

সাইপ্রিয়ট পাউন্ড

1879 সালে প্রথম প্রচলিত সাইপ্রিয়ট পাউন্ডের একটি উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কৌতূহলজনকভাবে, 20 শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত, এটির দাম পাউন্ড স্টার্লিং এর সমান ছিল। 2004 সালে, সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করে। 2008 সালে, এই দ্বীপরাষ্ট্রের দক্ষিণ অংশে ইউরো চালু করা হয়। যাইহোক, 2009 সাল পর্যন্ত, সাইপ্রিয়ট পাউন্ড পেমেন্ট পদ্ধতি হিসাবে দোকানপাটে গ্রহণ করা হত। উত্তরাঞ্চলে, কিছুদিন পরে ইউরো প্রচলন করা হয়েছিল। এরপরও, তুর্কি লিরা উত্তর সাইপ্রাসের সরকারী মুদ্রা। এটি ছাড়াও, দেশটির অধিবাসীরা পাউন্ড স্টার্লিং এবং মার্কিন ডলারের মাধ্যমেও অর্থ প্রদান করতে পারে।