ইলন মাস্ক

টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইওকে বেতন দেওয়া হয় না তবে তার জন্য অটোমেটিভ কোম্পানির শেয়ারগুলো বিশাল ছাড়ে কেনার সুযোগ রয়েছে। এই সুবিধা নিতে, মাস্ককে আগে থেকে অবহিত কাজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। গত বছর, টেসলার উজ্জ্বল আর্থিক ফলাফল ইলন মাস্ককে তিনটি বোনাস এনে দিয়েছিল। প্রতিটি বোনাসের মাধ্যমে ইলন মাস্ক 8.7 মিলিয়ন টেসলা শেয়ার কিনতে সক্ষম করেছিল। সেসময় তিনি টেসলার প্রতিটি স্টক $70-এ কিনতে পেরেছিলেন যদিও স্টক এক্সচেঞ্জে তখন টেসলার স্টক $977 -এ লেনদেন করা হচ্ছিল। এই ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে, এই উদ্যোক্তা বছরের গত বছর $23 বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হন।

রবার্ট স্ক্যারিঞ্জ

রিভিয়ান অটোমোটিভের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে ইলন মাস্কের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে স্বীকৃত। তিনি উচ্চ বেতনভোগী এক্সিকিউটিভদের একজন। গত বছর তার মূল বেতন মাত্র $650K ছিল, কিন্তু রবার্ট স্ক্যারিঞ্জ তার ভান্ডারে $2 বিলিয়নেরও বেশি সম্পদ যোগ করেছেন। এই উদ্যোক্তার আয়ের প্রধান উৎস হল একটি দৃঢ় ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ, যার মধ্যে বিভিন্ন কর্পোরেট সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

টিম কুক

টিম কুকের 10 বছর ধরে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড তত্ত্বাবধানের সময়কালে, এই আইটি জায়ান্ট রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছিল। এইরূপ ব্যাপক সাফল্য এই উদ্যোক্তাকে বিশাল অর্থ এনে দিয়েছে। সেই বছর তার মূল বেতন $3 মিলিয়ন ব্যতীত, টিম কুক বোনাস হিসাবে আরও $12 মিলিয়ন উপার্জন করেছিলেন কারণ কোম্পানিটি আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছিল। এছাড়াও, প্রিমিয়াম শেয়ার এবং কর্পোরেট সুবিধার অংশ হিসাবে তার আয় ছিল $82 মিলিয়ন। গত বছর টিম কুকের সামগ্রিক ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ $850 মিলিয়নেরও বেশি ছিল।

পিটার রলিনসন

লুসিড মোটরস হল আরেকটি মার্কিন কোম্পানি যা বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরি করে। কোম্পানিটির সিইও পিটার রলিনসনও বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনভোগী এক্সিকিউটিভদের একজন। বেতন-ভাতা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় মাত্র $529K কিন্তু প্রকৃত আয় এই পরিমাণের চেয়ে 1,000 গুণ বেশি। গত বছর, লুসিড মোটরস বিভিন্ন দিক থেকে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ফলে কোম্পানিটির সিইও সম্ভাব্য 5টি বোনাসের মধ্যে 4টি পেতে সক্ষম হয়েছেন। এই বোনাসের মাধ্যমে, পিটার তার বেতনের বাইরে অতিরিক্ত $556 মিলিয়ন উপার্জন করেছেন।

সু নাবী

2020 সালের কোভিড সংকটের সময়ে ল্যানকোমের সাবেক প্রেসিডেন্ট সু নবীকে আমেরিকান বহুজাতিক বিউটি কোম্পানি কোটি ইনকের সিইও হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। তারপর থেকে, এই কসমেটিক্স জায়ান্টের স্টকের মূল্য 110% এরও বেশি বেড়েছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে একারণে সু নবীকে বিশাল বোনাস দেওয়া হয়েছিল। 2021 সালে তার অফিসিয়াল বেতন প্রায় $3.5 মিলিয়নে ছিল। তা ছাড়া, এই উদ্যোক্তাকে $280 মিলিয়ন ডলারের মোটা অংকের বোনাস দেওয়া হয়েছিল। ব্লুমবার্গের মতে, এটি বিউটি ইন্ডাস্ট্রির একজন সিইওর পাওয়া সবচেয়ে বৃহৎ আয়।