২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়ান শক্তির উপর নির্ভরতা কমাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
প্রতিদিনই, ক্রেতারা রাশিয়ান জ্বালানি সরবরাহকারীদের সাথে চুক্তি বন্ধ করছে। তদুপরি, অনেকে রাশিয়া থেকে তেল এবং গ্যাস আমদানি পুরোপুরি ত্যাগ করার পরিকল্পনা করছে। উদাহরণস্বরূপ,ইউরোপীয় ইউনিউয়ন ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়ান শক্তি সরবরাহের উপর নির্ভরতা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়।
ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইকোনমি পাওলো জেন্টিলোনির মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরতা দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনবে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। জেন্টিলোনি বলেছেন, “বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজের বিবর্তন হিসেবে সম্ভবত জ্বালানি-শক্তি অন্তর্ভুক্ত হবে,এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। প্রথম লক্ষ্য হল এই বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নির্ভরতা দুই-তৃতীয়াংশ কমানো এবং ২০২৭ সালের মধ্যে তা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা, আর দ্বিতীয়টি হল এমন একটি কৌশল তৈরি করা যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ধীর করবে না।”
ইউরোপীয় দেশগুলি অন্যান্য সরবরাহকারীদের থেকেজ্বালানি ক্রয় এবং রাশিয়ান জ্বালানি ত্যাগের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত। ভবিষ্যতে ইউরোপে পণ্য সরবরাহকারী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসে ইউরোপ দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এ দেশ থেকে তেলের চালান পাবে। প্রায় এক মিলিয়ন ব্যারেল অশোধিত তেল বোঝাই একটি ট্যাঙ্কার যুক্তরাজ্যে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।